–পিএইচই শিলচর ডিভিশন টু-র এগজিকিউটিভইঞ্জিনিয়ার রত্নজ্যোতি দত্তের অশালীন আচরণ!

এ কে আজাদ রোড ডব্লুএসএস প্রকল্পের স্যানিটেশন কমিটিকে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে জনতার ভেঙে দেওয়ার দাবি সংক্রান্ত এক স্মারকপত্র জমা পড়তেই ভড়কে যান ডিভিশন টু-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রত্নজ্যোতি দত্ত।পরোয়া করেননি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও।বলেন, এটা তাঁর দায়িত্ব নয়…. ঘটনাটি ঘটেছে শিলচর পিএইচই শিলচর ডিভিশন টু-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয়ে….অনভিপ্রেত এ ঘটনায় ক্ষুব্দ শিলচর সেকেন্ড লিংক রোড ও থার্ড লিংকরোড এলাকার জনতা।হস্তক্ষেপ চাইলেন রাজ্য সরকারের…এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক, ২০২১ সালের ৩১ জুলাই এ কে আজাদ রোডে ওই জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছিল।সরকার এই প্ল্যান্টের জন্য ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল। এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে বিনামূল্যে পানীয় জল পৌঁছে দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ ছিল।কিন্তু শিলচর সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জীবানন্দ সিকদার এবং সভাপতি সুসিম চন্দ্ৰ নাথ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রকল্পটি জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় নয় জানিয়ে প্রতিটি হাউস কানেকশন বাবদ ৪ হাজার টাকা করে নিতে শুরু করেন।এর ১ হাজার টাকা সিকিউরিটি এবং ৩ হাজার টাকা প্ল্যান্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য। তা ছাড়া মাসে মাসে ২০০ টাকা করে জলকরও নেওয়া হচ্ছিল জল জীবনের নাম করে।আর এসব টাকা নিচ্ছিল সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটি। অথচ সিলমোহর পড়ছিল লিংক রোড ওয়াটার সাপ্লাই স্যানিটেশন কমিটির এ নিয়ে দফায় দফায় সরব হন শিলচর আবুল কালাম আজাদ রোড বা সেকেন্ড লিংক রোড এবং থার্ড লিংক রোড এলাকার জনতা। তারা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্দেশে গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকপত্র পাঠানোরও তোড়জোড় শুরু করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সেকেন্ড লিংক রোড ডব্লুএসএস-এর স্যানিটেশন কমিটিকে ভেঙে দিতে এবং নতুন কমিটি গঠন করতে রত্নজ্যোতি দত্তের দ্বারস্থ হতেই নিয়ন্ত্রণ হারান রত্নজ্যোতি। আবেদন নিয়ে আসা ভুক্তভোগী জনতার সঙ্গে করেন অশালীন আচরণ। ভ্রূক্ষেপ করেননি ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদেরও